বিশেষ জাতের কাঁচা দেশি আম সংগ্রহ করা হয়
সেগুলো ধুয়ে পাতলা করে কাটা হয়
তারপর পরিমাণমতো লবণ দিয়ে মেখে রোদে শুকানো হয়
এতে কোনো কেমিক্যাল, রং, ফ্লেভার, প্রিজারভেটিভ মেশানো হয় না
একেবারে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন পাত্রে প্যাক করে সংরক্ষণ করা হয়
রাজশাহীর এই ঐতিহ্য ঘরে বসে পেতে আর দেরি কেন? আমাদের প্রতিটি আমচুর হাইজেনিক প্যাকিং, ভেঙে না যাওয়ার মতো সুরক্ষিত ডেলিভারি, আর সর্বোপরি সততা ও স্বাদের প্রতিশ্রুতি নিয়ে আসে।
চুইঝাল কাটার আগে অবশ্যই ১০ থেকে ১৫ মিনিট পানিতে ভিজিয়ে রাখবেন। এরপর প্রথমত আশ বরাবর লম্বালম্বি কেটে নিবেন। তারপর প্রয়োজনমত ছোট বড় টুকরো করে নিন।
চুইঝাল দিয়ে রান্না করা তরকারিতে কড়া ঝাঁঝালো ঝাল একটা স্বাদ পাওয়া যায়। মাংস ছাড়াও ভুনা খিচুড়ি, মাছ ভুনা, বিভিন্ন রকমের রান্নায় চুইঝালের ব্যবহার এর স্বাদকে আরো বহুগুণে বাড়িয়ে দেয়।
ঝোল জাতীয় যেকোন খাবারে চুইঝাল ব্যবহার করতে পারবেন। চুইঝালের ফ্লেভারটা ভালোমতো ঝোলের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ার জন্য দুই তিন টুকরো চুই ঝাল থেতো করে দিবেন আর বাকি অংশটুকু আস্তই থাকবে। এতে করে যেমন ঝোল এর মধ্যে চুইঝালের ফ্লেভার পাবেন, আবার আলাদা করে চুইঝাল চিবিয়ে খাওয়ার মজাটাও উপভোগ করতে পারবেন।
চুইঝাল গাছের কাণ্ডকে গাছ চুইঝাল বলে। গাছ চুইঝালের ঝাঁঝ সাধারণত একটু বেশি হয়ে থাকে। গাছ চুইঝাল রান্নায় গলে না গিয়ে আস্ত থাকে। এজন্য যখন চিবিয়ে খাওয়া যায় তখনই স্বাদটা উপভোগ করা যায়।
চুই ঝাল গাছের গোড়া এবং গোড়া সংলগ্ন মোটা অথবা মাঝারি মোটা অংশকে এটো চুই ঝাল বলে। এটো চুইঝালে ঝাল এ ঝাল তুলনামূলক কম হলেও রান্নায় গলে গিয়ে গ্রেভি ফ্লেভার নিয়ে আসে। তরকারিতে দিলে নরম হয়ে যায়, তবে ঝোলের সাথে দারুন ফ্লেভার ছড়ায়। তুলনামূলক কম-ঝালযুক্ত এবং রান্নায় গলে যাওয়ার জন্য এই চুইঝালও কিন্ত বেশ সুস্বাদু এবং সবার পছন্দের তালিকায় শীর্ষে থাকে।
পাহাড়ী চুইঝাল দেশের পাহাড়ী অঞ্চল অর্থাৎ চট্টগ্রাম, রাঙামাটি পার্বত্য অঞ্চলে জন্মে থাকে। এর রঙ খয়েরী অথবা লালচে সাদা, রান্না হতে বেশ সময় লাগে, খেতে মোটেও সুস্বাদু নয় এবং কাঠের মত শক্ত হয়ে থাকে। পাহাড়ী চুই এর বাহ্যিক অংশে কোনো শিকড় থাকে না অন্যদিকে দেশী চুইঝালের কান্ড ছোট ছোট শিকড়ে পরিপূর্ণ হয়ে থাকে এবং রান্নায় ও বেশ ঝাঁঝালো ঝাল এক ধরনের ফ্লেবার যোগ করে থাকে।
চুইঝাল গ্যাস্ট্রিক সমস্যার সমাধান করে ও কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে,খাবারের রুচি বাড়াতে এবং ক্ষুধামন্দা দূর করতে কার্যকর ভূমিকা রাখে। এছাড়া পাকস্থলী ও অন্ত্রের প্রদাহ কমায়, স্নায়ুবিক উত্তেজনা ও মানসিক অস্থিরতা প্রশমন করে, শারীরিক দুর্বলতা ও শরীরের ব্যথা কমায়। সদ্য প্রসূতি মায়েদের শরীরের ব্যথা দ্রুত কমাতে ম্যাজিকের মতো সাহায্য করে। কাশি, কফ, হাঁপানি, শ্বাসকষ্ট, ডায়রিয়া ও রক্তস্বল্পতা দূর করে। এছাড়াও চুই ঝাল ঘুমের ওষুধ হিসেবেও বেশ ভালো কাজ করে।
প্রচলিত পদ্ধতি
শুকানোর পদ্ধতি
খোলা জায়গায় রোদে শুকানো
পরিচ্ছন্নতা
ধুলাবালি, পোকামাকড়ের ঝুঁকি
ব্যবহৃত উপকরণ
কাঁচা আম ও লবণ- তবে সংরক্ষণে কখনো কখনো কেমিক্যাল
সময়
৫-৭ দিন রোদে শুকাতে হয়
প্যাকেজিং
স্থানীয়ভাবে হাতে প্যাক
আমাদের আধুনিক পদ্ধতি
শুকানোর পদ্ধতি
ডিহাইড্রেশন টানেল (ফুড-গ্রেড প্রযুক্তি)
পরিচ্ছন্নতা
১০০% হাইজেনিক প্রক্রিয়ায় প্রস্তুত
ব্যবহৃত উপকরণ
কেমিক্যাল ফ্রি দেশি কাঁচা আম ও প্রাকৃতিক লবণ
সময়
মাত্র ৮-১২ ঘণ্টায় ডিহাইড্রেশন সম্পূর্ণ
প্যাকেজিং
আধুনিক ফুডগ্রেড জারে, ন্যূনতম হিউমিডিটি সহ সিলপ্যাকড
চাইলেই আপনি স্বাস্থ্যকর, ঘ্রাণে মুগ্ধতা আর টক ঝালে ভরপুর একটা অভিজ্ঞতা পেতে পারেন-নিজের জন্য কিংবা প্রিয়জনের জন্য উপহার হিসেবেও। বলা যায়-এই আমচুর শুধু খাবার নয়, এটি স্বাদের এক জাদুকরি অধ্যায়।